মানসম্মত এভিয়েশন নেভিগেশন পরিষেবার উন্নয়নে, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি সালভাতোর সায়াচিটানো এবং আইসিএও মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার গোমেজ, সোমবার (১৬ আক্টোবর) গণভবনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা তাদের প্রতি সহায়তার আহবান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম জানান, সহায়তার মধ্যে রয়েছে; মানসম্মত এভিয়েশন নেভিগেশন পরিষেবা প্রদানে সহযোগিতা, উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। তিনি জানান যে শেখ হাসিনা বলেছেন, “বাংলাদেশ আশা করে যে আইসিএও মান অনুযায়ী বিমান চলাচলের ন্যাভিগেশন সেবা প্রদানে এবং বাংলাদেশে নিবন্ধিত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে আইসিএও।”
ইহসানুল করিম আরো জানান, দেশে নিবন্ধিত আইসিএও মান বজায় রেখে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আইসিএও বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ হবে, পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করবে, এমন একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র। তাই, সরকার সে অনুযায়ী বিমানবন্দরের উন্নয়ন করছে। এ বিষয়ে আমরা আইসিএওর সহযোগিতা কামনা করি।”
ইহসানুল করিম জানান, “এ প্রসঙ্গে আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন সেক্টরের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।” আইসিএও বাংলাদেশকে সমর্থন করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। বলেন, “নতুন প্রজন্মের এভিয়েশন পেশাদাররা তাদের কর্মজীবন শুরু করেছে।”
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিংয়ের কথা উল্লেখ করে সায়াচিটানো বলেন, “এই টার্মিনালটি সুন্দর, যা বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এখন প্রধান কাজ হবে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
আইসিএও কাউন্সিলের সভাপতি কানেক্টিভিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার পরিবেশ রক্ষায় জোর দিচ্ছে। সরকার পরিবেশ রক্ষায় খুবই সতর্ক এবং বাংলাদেশ খুব কম পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করে; কিন্তু দেশটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।”