অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মাহসা আমিনির পরিবারের আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছে ইরানের আদালত


ইরানি আইনজীবী সালেহ নিকবাখতের একটি ছবি। তেহরান, ইরান। ৯ মার্চ, ২০০৫। ফাইল ছবি।
ইরানি আইনজীবী সালেহ নিকবাখতের একটি ছবি। তেহরান, ইরান। ৯ মার্চ, ২০০৫। ফাইল ছবি।

গত বছর ইরানে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া কুর্দি নারী মাহসা আমিনির (২২) পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীকে “সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর” অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার পরে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সালেহ নিকবখত গণমাধ্যম আউটলেটের সাথে সাক্ষাৎকারে আমিনির মামলা নিয়ে আলোচনা করেন। তখন গোয়েন্দা মন্ত্রক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ভয়েস অফ আমেরিকাকে পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ইসলামি বিপ্লবী আদালত তাকে সাজা দিয়েছে।

আমিনির মৃত্যু কয়েক মাস ব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভের জন্ম দেয়। ইরানি পুলিশ বলেছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তবে তার পরিবার এই দাবির বিরোধিতা করেছে। তার মৃত্যুর তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ ডাক্তারদের একটি কমিটির জন্য তার পরিবার অনুরোধ করেছিল; কিন্তু ইরানি কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে।

নিকবখত আমিনির পরিবারের প্রস্তাবিত “দেশের বারোজন বিশিষ্ট ডাক্তারের মধ্যে পাঁচজনের” দ্বারা আমিনির মৃত্যুর কারণের পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবার অনুরোধ করেন।

নিকবখতের প্রতিনিধিত্বকারী একজন আইনজীবী আলী রেজাই জোর দিয়ে বলেন, তার মক্কেলের বিবৃতি তার “অ্যাটর্নি হিসেবে আইনি বাধ্যবাধকতা”-র মধ্যে সীমিত ছিল এবং তিনি কোনো অন্যায় করেননি।

XS
SM
MD
LG