চীন ইসরাইল থেকে স্বদেশ ফিরতে ইচ্ছুক চীনা নাগরিকদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিজেদের জন্য টিকিট কিনতে বলেছে। যদিও অন্যান্য সরকা্র চার্টার্ড, সামরিক বা অবশিষ্ট বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের নাগরিকদের সহায়তা করছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং সোমবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “চীন ও ইসরাইলের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট এখনও চালু রয়েছে। আমরা স্থানীয় চীনা নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে চীনে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
অক্টোবর ৭ এ হামাসের হামলার পর ইসরাইলে আটকা পড়া চীনা নাগরিকরা দেশে ফেরার যাত্রায় সহায়তা পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারস্থ হন। ইতিমধ্যে আর্জেন্টিনা, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের মানুষদের এরকম সহায়তা দিয়েছে।
তাইওয়ান মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, তারা ইসরাইল থেকে ১৫৬ জন তাইওয়ানের নাগরিককে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আর ১৪৭ জন নাগরিক সেখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে 'ডিপ নো ব্লু' নামের এক ব্যবহারকারী জিয়াওহংশু ৯ তারিখে তেল আবিব ছেড়ে কোন চীনা নাগরিক যাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ করেছেন। তিনি বলেন, হাইনান এয়ারলাইন্সে তার ও তার এক বন্ধুর কেনা টিকিট বাতিল করা হয়েছে। চীনা দূতাবাসে ফোনে ফেরার উপায় জানতে চাইলে তাদের বলা হয় তারা নিজেরাই যেন একটি উপায় খুঁজে বের করে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, সংঘাতের কারণে গত ৯ অক্টোবর তেল আবিব ও সাংহাইয়ের মধ্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে হাইনান এয়ারলাইন্স।
নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চীনের মনোভাব ইসরাইলে অনেক চীনা প্রবাসীকেই ক্ষুব্ধ করেছে।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের কাছে ভিওএ ম্যান্ডারিন শাখা চীনের তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা এবং সমালোচনার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে যোগাযোগ করলে এক ইমেইলে দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ জানান,
“সংশ্লিষ্ট চীনা কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো চীনা নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। চীন ও ইসরাইলের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট এখনও চালু রয়েছে। আমরা স্থানীয় চীনা নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে চীনে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
ভিওএ ম্যান্ডারিন ১৮ অক্টোবর তেল আবিব থেকে বেইজিং, সাংহাই, শেনঝেন, চেংদু এবং হংকংগামী ফ্লাইট খোঁজ করলেও সরাসরি কোন ফ্লাইট পায়নি এবং অন্যান্য টিকেটের দাম অনেক বেশি।