চীনের নেতা শি জিনপিং বৃহস্পতিবার প্রথমবার ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন। যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পাশাপাশি তিনি বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে “স্বাধীন ফিলিস্তিন” প্রতিষ্ঠাই এই সংঘাত থেকে “বেরিয়ে আসার মূল পথ”।
মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা বাদবৌলীর সঙ্গে বেইজিং-এ এক বৈঠকের সময় শি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করা, এই সংঘাত যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে বা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে না যায় তা দেখা প্রধান অগ্রাধিকার। এই সংঘাতের ফলে ব্যাপক মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।”
বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক বলেন, ফিলিস্তিনের সমস্যা নিয়ে শি’র মন্তব্য বেইজিং ‘এর শতকব্যাপী অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়ার কলেজের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডন মার্ফি টেলিফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “৮ অক্টোবরের পর থেকে যে বিবৃতি (বেইজিং থেকে) এসেছে তা অন্তত ১৯৯৭ সাল থেকে চীন যা বলে আসছে তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।”
তিনি বলেন, ইসরাইল-হামাসের সাম্প্রতিক সংঘাতকে চীন “তাদের অবস্থানের নাটকীয় পরিবর্তন” হিসেবে দেখছে না।
মার্ফি বলেন, “তারা একে দীর্ঘমেয়াদী ফিলিস্তিন-ইসরাইলের সংঘাতের অংশ হিসেবেই দেখছে।”
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান-সূত্র প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পাশাপাশি শি পরিস্থিতি লঘু করতে মিশরের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ফিলিস্তিন প্রশ্নের সার্বিক, ন্যায়নিষ্ঠ ও স্থায়ী সমাধান” বের করতে বেইজিং “মিশর ও অন্যান্য আরব দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয়কে মজবুত করতে প্রস্তুত”।
ফিলিস্তিনের জঙ্গী গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরাইলের উপর হামলা চালানোর পর সংঘাত শুরু হয়। হামাসের এই হামলায় অন্তত ১,৪০০ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জন ইসরাইলি নাগরিককে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।