পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, হাজার হাজার আফগান নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। কাগজপত্র বিহীন বিদেশিদের ১ নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে অথবা নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হবে পাকিস্তান সরকারের এই ঘোষণার পরই তারা দেশে ফিরে আসেন।
বিদেশীদের মধ্যে আনুমানিক ১৭ লক্ষ আফগান রয়েছে যাদের কাগজপত্রের অভাব বা ভিসার মেয়াদ শেষ তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বলা হয়। এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ, অক্টোবরের শুরুতে সময়সীমা ঘোষণা করে । পাকিস্তান সরকার কঠিন ভাবে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, যারা তা মানতে ব্যর্থ হবে তাদের “পর্যায়ক্রমে ও ধারাবাহিকভাবে” গ্রেফতার ও বহিষ্কার করা হবে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার পুরুষ, নারী ও শিশু আফগানিস্তানে ফিরে গেছে। পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিসহ বিভিন্ন অংশের অসংখ্য পরিবার আফগান সীমান্তের দিকে যাওয়ার জন্য ট্রাক ও বাসে চড়ছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু বৃহস্পতিবারেই তিন হাজারের বেশি আফগান তাদের দেশে ফিরে গেছেন।
যদিও জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এই বহিস্কারের কারণে অনেক পরিবার দেশটির তালিবান শাসকদের দ্বারা নিপীড়ন এবং অন্যান্য নির্যাতনের মুখোমুখি হতে পারে। কিন্তু ইসলামাবাদ বহিস্কার না করার অভ্যন্তরীণ ও জাতিসংঘের আহ্বান উপেক্ষা করেছে।
যুক্ত্ররাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার তার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান ও ইরান থেকে আফগানদের জোরপূর্বক বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
“আমরা পাকিস্তানসহ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রত্যাশী আফগানদের প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং ইউএনএইচসিআর এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মতো আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।”
তালিবান আফগানদের বহিষ্কার স্থগিত করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং এটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে। তবে প্রতিবেশী দেশ থেকে ফিরে আসা পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক আশ্রয়, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিতে তারা সীমান্তের আফগান অংশে বিশেষ তাঁবু স্থাপন করেছে।
পাকিস্তান ব্যুরো প্রধান সারাহ জামান এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।