গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ রবিবার প্রবেশ করেছে। তবে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের যে ত্রাণ সংস্থা আছে, তারা সতর্ক করেছে যে বুধবার নাগাদ জ্বালানী শেষ হয়ে যাবে। হামাস জঙ্গীদের ওপর ইসরাইলি বিমান হামলা এবং সম্ভাব্য স্থল আক্রমণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ঐ সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলছেন, জ্বালানী ছাড়া কোনো পানি থাকবে না, হাসপাতাল এবং বেকারি চলবে না, যাদের ত্রাণ প্রয়োজন, তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছোবে না, কোনো মানবিক সাহায্য দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ঐ সংস্থা বর্তমানে গাজার গৃহহীন প্রায় ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সাহায্য করছে। গাজার মানুষ, যাদের প্রয়োজন প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে, জ্বালানী ছাড়া আমরা তাদের সাহায্য করতে পারবো না।
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে গাজায় জ্বালানী সরবরাহের অনুমতি দেবার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহবান জানান।
সংস্থাটি বলছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে তাদের ২৯ জন কর্মী নিহত হয়েছে।
ইসরাইলে হামাসের ঐ হামলায় ১৪০০ মানুষ নিহত হয়। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরাইলের পাল্টা হামলায় প্রায় ৪,৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।