অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৮ বছরে সর্বনিম্ন


বাংলাদেশের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ।
বাংলাদেশের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ।

বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন ব্যাপকভাবে কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, “এমন বাজে অবস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি”।

তিনি বলেন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের বিলম্বিত ছাড়ের কারণ হতে পারে এডিপি বাস্তবায়নের দুর্বলতা।

আবদুল মজিদ এডিপি বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকল্পগুলোর গতি আনতে দক্ষ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের ৫৮টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় ব্যয় করেছে ২০ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।

অর্থাৎ বরাদ্দের বিপরীতে এই ৩ মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এটি গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে সরকারি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৭ শতাংশ। এরপর গত কয়েক বছরে একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।

এ ছাড়া, বাকি বছরগুলোতে গড় হার ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এই হার ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৩টি প্রকল্পের বাস্তবায়নের হার ১ শতাংশেরও কম। এর মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ০ দশমিক ৭ শতাংশ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ০ দশমিক ৫ শতাংশ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ ছাড়া, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ৬টি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৭টি ও সরকারি কর্ম কমিশনের ১টি প্রকল্পে এক টাকাও ব্যয় হয়নি।

XS
SM
MD
LG