অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জর্জিয়ায় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ মামলায় দোষ স্বীকার করলেন ট্রাম্পের আইনজীবী


ফুলটোন সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক স্কট ম্যাকাফির আদালতে বিবৃতি পড়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন জেনা এলিস ও তার আইনজীবীরা। আটলান্টা। ২৪ অক্টোবর,২০২৩।
ফুলটোন সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক স্কট ম্যাকাফির আদালতে বিবৃতি পড়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন জেনা এলিস ও তার আইনজীবীরা। আটলান্টা। ২৪ অক্টোবর,২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ আনেন, তাকে কারচুপির মাধ্যমে ২০২০ এর নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে পুননির্বাচিত হতে দেওয়া হয়নি, যা ভিত্তিহীন। এই অভিযোগে সমর্থন জানিয়েছিলেন জেনা এলিস নামে ট্রাম্পের এক আইনজীবী। মঙ্গলবার তিনি দক্ষিণের অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ার নির্বাচনের ফলকে ঘুরিয়ে ট্রাম্পকে জয়লাভ করানোর অবৈধ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার বিষয়টি কাঁদতে কাঁদতে স্বীকার করেন। তিনি একইসঙ্গে আসন্ন বিচারিক কার্যক্রমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রাজি হন।

অপরাধের অংশ হওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্পসহ আরও ১৮ জন বিবাদীর মধ্যে চতুর্থ জন হিসেবে ৩৮ বছর বয়সী এলিস দোষ স্বীকার করলেন। অন্যান্য যেকোনো মামলার মতো, এ ক্ষেত্রেও ফুলটন কাউন্টি ডিসট্রিক্টের কৌসুলি ফ্যানি উইলিস এলিসকে কারাদণ্ড এড়ানোর সুবিধা দেন। এই সুবিধা পেতে এলিস এমন তথ্য-প্রমাণ দিতে সম্মত হয়েছেন, যা এই মামলার অন্যান্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জাতীয় নির্বাচনের ফল পালটে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজে বহাল রাখার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে।

২০২০ সালের নির্বাচনে বড় আকারে কারচুপি হয়েছিল, এ ধরনের মিথ্যে বিবৃতি ও লেখনী তৈরিতে সহায়তা করা ও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার একমাত্র ফৌজদারি অভিযোগে দায় স্বীকার করেছেন এলিস। আজ থেকে এক বছর পর, ২০২৪ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে লড়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা ট্রাম্প এই মিথ্যে দাবিতে অটল আছেন।

এলিস ফুলটন কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক স্কট ম্যাকাফিকে জানান, তিনি ভুল করেছিলেন এবং ট্রাম্পের অন্যান্য প্রধান সমর্থক তাকে ২০২০ এর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। তিনি এখন আর এসব মিথ্যে দাবি বিশ্বাস করেন না, জানান এলিস।

এলিস বলেন, “আমি এখন যা জানি, তা যদি তখন জানতাম, তাহলে নির্বাচন-পরবর্তী এসব দাবিতে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিত্ব করতে অস্বীকার করতাম।”

এলিস ৩ থেকে ৫ বছর প্রোবেশন ও ১০০ ঘণ্টার কমিউনিটি সার্ভিস দিতে সম্মত হয়েছে। সঙ্গে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সচিবের কাছে ৫ হাজার ডলার জরিমানা দেবেন তিনি। এ ছাড়া, ইতোমধ্যে তিনি জর্জিয়ার বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।

ট্রাম্প জর্জিয়া ও আরও ৩ ফৌজদারি মামলার ৯১টি অভিযোগের সবগুলোই অস্বীকার করেছেন। জর্জিয়ার মামলার বিচারিক কার্যক্রমের জন্য এখনো কোনো দিন-তারিখ নির্ধারণ হয়নি। বাকি মামলাগুলোর কার্যক্রম ২০২৪ এর প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা যেকোনো মামলার অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি কয়েক বছরের কারাদণ্ড পেতে পারেন।

XS
SM
MD
LG