অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গারা স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে: সেমিনারে আব্দুল মোমেন


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশ এবং এ অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমি-তে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। জানান,“ তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি-তে পরিণত হতে পারে।” সেমিনারে, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বক্তব্য রাখেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, “বিশ্ব সম্প্রদায়ের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে আমরা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় দিয়েছি। এমনকি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভূমিকা পালনের আগেই, প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে আমরা আমাদের খাদ্য ভাগাভাগি করে এবং তাদের মৌলিক মানবিক চাহিদা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভূমিকা পালন করেছি।”

তিনি জানান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলাদেশ প্রতি বছর রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে ১০৭ কোটি ডলার ব্যয় করে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক সহায়তা কমলেও, বোহিঙ্গাদের জন্য খরচ বাড়ছে। দীর্ঘ ছয় বছর রোহিঙ্গাদের আতিথ্য করার পরও, শুধু বাংলাদেশ এই বোঝা বহন করতে থাকবে; এটা অন্যায্য।”

আব্দুল মোমেন বলেন, “একটি ছোট ভূখণ্ডে ১০ লাখের বেশি মানুষ; যারা গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের অতীত স্মৃতি নিয়ে এসেছে; এসব মানুষের কট্টরপন্থা ও চরমপন্থার প্রবণতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা আশঙ্কা করি, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এই লোকদের যদি তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন না করা হয়, যদি তাদের আশা ও ভরসা না দেয়া হয়; তাহলে তারা এই অঞ্চল এবং এর বাইরের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হতে পারে। এমনকি তারা বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ঝুঁকি হতে পারে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জানান যে বাংলাদেশ অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই অসহায় মানুষদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একা এই সংকটের সমাধান করতে পারে না এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংকট সমাধানে তাদের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে যাওয়া উচিত নয়।বাংলাদেশের ওপর মিয়ানমার যে বোঝা চাপিয়েছে, সেই বোঝা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দিতে হবে।”

আব্দুল মোমেন বলেছেন, “রোহিঙ্গাদের প্রতি যাতে আমাদের সম্মিলিত মনোযোগ থাকে; তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীজনদের।”

XS
SM
MD
LG