অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইউনিসেফ: গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া নেই, মারা যাচ্ছে শিশুরা


গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ অঞ্চলে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত একটি ভবনের বাইরে ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে এক মেয়ে। ৩১ অক্টোবর ২০২৩।
গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ অঞ্চলে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত একটি ভবনের বাইরে ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে এক মেয়ে। ৩১ অক্টোবর ২০২৩।

জাতিসংঘের এক শীর্ষ এজেন্সি সতর্ক করছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বানে কেউ সাড়া না দিলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। সঙ্গে এই ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি অঞ্চলের শিশুরা আরও বড় ঝুঁকির মুখে পড়বে।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার মঙ্গলবার বলেন, “গাজা এখন হাজার হাজার শিশুর সমাধিতে পরিণত হয়েছে”। “এটা এখন সবার জন্য এক জীবন্ত নরক”, বলেন তিনি।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত গাজার ৮ হাজার ৩০০-র চেয়েও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩ হাজার ৪৫৭ শিশু রয়েছে। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা এক ভয়াবহ হামলায় ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পর থেকে ইসরাইল শাস্তিমূলক বোমা হামলা শুরু করেছে।

তিনি বলেন, “গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও বিদ্বেষমূলক হামলা শুরুর থেকেই ইউনিসেফ মানবিক যুদ্ধবিরতি, ত্রাণের অবাধ প্রবাহ ও অপহরণকৃত শিশুদের মুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।” তিনি আরও জানান, “অন্য অনেকের মতো আমরাও শিশু হত্যা থামানোর অনুরোধ জানিয়েছি।”

এলডার বলছেন, “চিকিৎসা সামগ্রী ও সেবার অভাবে শিশুরা মৃত্যুবরণ করছে। তারা বোমাবর্ষণে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের জীবন বাঁচানো উচিত।”

জেমস এলডার বলছেন, ইউনিসেফ ২১ অক্টোবর থেকে শুরু করে মোট ২৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় পাঠিয়েছে। তিনি জানান, সোমবার গাজায় ৮টি ট্রাক এসে পৌঁছায়, যেগুলো পানি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী বহন করেছে। তবে কোনো জ্বালানী পাঠানো হয়নি।

"আমরা জানি যে, আমরা প্রথম দিন থেকেই মরিয়া হয়ে যে যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়ে আসছি, তা না পেলেও অন্তত এই মানুষগুলোর পানি, ওষুধের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে”।

তিনি বলেন, “অন্যান্য এজেন্সিরা কিছুটা (ত্রাণ) প্রবেশ করাতে পারছেন, ইউনিসেফও খানিকটা পারছে।” “তবে তা মহাসমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো। এ বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।”

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিয় গুত্তেরেস ২৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজাতে ইসরাইলের অবরোধ 'আন্তর্জাতিক মানবতা আইনের স্পষ্ট লংঘন'।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

XS
SM
MD
LG