শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, ইসরাইলের নিজেকে রক্ষা করার জন্য “অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা”কে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। তিনি এটিও জোর দিয়ে বলেন যে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কিছু করা প্রয়োজন।
তেল আবিবে ব্লিংকেন বলেছেন, “ইসরাইল হামাসকে পরাজিত করার জন্য যে অভিযান চালাচ্ছে এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ সে ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট।এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি করা সঠিক এবং বৈধ।এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি করতে না পারলে হামাস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্রীড়নক হতে হবে।তাদেরকে যদি মানবিক বিপর্যয় গ্রাস করে এবং তাদের দুর্দশার প্রতি যদি উদাসীনতা প্রকাশ করা হয়, তবে শান্তির জন্য কোনো অংশীদার থাকবে না।”
শুক্রবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সমর মন্ত্রিসভার সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কুটনীতিক এই মন্তব্য করেন।
ব্লিংকেন আরও উল্লেখ করেন, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা অবশ্যই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা উচিত। তিনি বলেন, মিশর থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন ১০০ ট্রাক করে সহায়তা এখন ঐ এলাকায় প্রবেশ করছে, কিন্তু তা এখনো পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, ইসরাইল আভাস দিয়েছে, তারা এই অঞ্চলে সহায়তা বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, এই সমস্ত লক্ষ্য অর্জনে যুদ্ধে মানবিক বিরতি গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লিংকেনের সফর এমন সময়ে হচ্ছে যখন অধিকতর মানবিক সহায়তা যাতে গাজা শহরে প্রবেশ করতে পারে সে উদ্দেশ্যে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ থামানোর জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে ইসরাইলের স্থল সেনারা গাজা শহরকে ঘিরে রেখেছে।
যদি অধিক পরিমাণে সহায়তা গাজা ভূখন্ডে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া হয় তাহলে গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা। হামাসের হামলার পরপরই গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল। এটি এবং অবিরাম বিমান হামলার ফলে গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে।