অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০ জন


প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে, এক সপ্তাহে খুলনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অন্তত ২০০০ নেতা-কর্মীদের নামে কমপক্ষে ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। আর, এসব মামলায় দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।

বিএনপির খুলনা শাখার নেতারা জানিয়েছেন, এসব মামলার মধ্যে, খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) নতুন ৩টি ও জেলার ৯টি থানায় নতুন ১২টি মামলা করেছে পুলিশ। বিএনপির খুলনা শাখার মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন জানান, “মামলায় নাম উল্লেখ না থাকলেও, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে, বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ।”

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী, দাকোপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মিজানুর রহমান মিলটন আরো জানান, “খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানকে, বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানিয়েছে পুলিশ।” বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির জানান, “বুধবার (১ নভেম্বর) বটিয়াঘাটা থানায় দায়ের কার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার জলমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

খুলনা মহানগরীর তিন থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ৩টি মামলায়; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ মোট ১ হাজার ২৮৭ জনকে অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) নগরীরে তেরখাদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বাবু বলেন, “মামলায় আমার বাবাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে; তিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন। আমাকে ১০ নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২ নভেম্বর তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার হালদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় মোট ৫০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, আরো অজ্ঞাতনামা দেড়শ’ থেকে ২০০ জনকে অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই মামলায়।

এদিকে, খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। মান্নানের ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে সাদা পোশাকের ৮ জন নিরালা এলাকায় মান্নানের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে। এ ছাড়া, গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা সদর থানায় এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় মোট ৪৭ জনকে অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

অপর দিকে, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, খুলনা নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহিরসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই নিয়াজ মোর্শেদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।

XS
SM
MD
LG