বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা দলগুলোর ডাকে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশে চলছে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ। এর আগে রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টায়।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের উদ্দেশ্য হচ্ছে—সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
আগের দুই বারের অবরোধের তুলনায় বুধবার ঢাকার সড়কে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। অফিসগামী, শিক্ষার্থী ও অন্য যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
৬ নভেম্বর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো বুধবার থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেয়।
বিএনপি ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করায় মঙ্গলবার কর্মসূচি থেকে এক দিনের বিরতি দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগে ঢাকার মালিবাগে বাসে আগুন
এদিকে বুধবার সকাল থেকে দেশব্যাপী অবরোধের আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকার মালিবাগে বাহন পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (মিডিয়া সেল) স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান, রাত ১১টার দিকে মালিবাগে আনসার ক্যাম্পের পাশে বাহন পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খাগড়াছড়িতে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুন
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. জাকারিয়া বলেন, অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার বাসের টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলেও ছেড়ে যায়নি কোনো বাস।
তিনি আরও বলেন, শহর ও শহরতলিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার কারণে কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাকও শহরে প্রবেশ করেছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, “সাধারণ মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি”।