- ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাস গাজার হাসপাতাল থেকে রোগিদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে।
- শিফা হসপিটালে জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় চারজন রোগি এবং একটি শিশু মারা গেছে।
- উত্তর গাজার একটি বৃহত্তম হাসপাতালে হামলার পর হাজার হাজার মানুষ সেখান থেকে পালিয়েছে।
- ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আক্রমণে ১,২০০ মানুষ নিহত হয়। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, গাজায় ইসরাইলের হামলায় ১১,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার অবরুদ্ধ শিফা হসপিটাল থেকে কেনো রোগিদের নিরাপদে সরানো যাবে না "তার কোনো কারণ নাই"। তিনি বলছেন হামাস জঙ্গিরা "তাদেরকে বিপদের মধ্যে রাখতে সবকিছু করছে"।
তিনি সিএনএন-এর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে বলেন, ঐ হাসপাতাল থেকে ১০০ রোগিকে বের করে আনা হয়েছে, আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি "সেইফ করিডোর" দিয়ে দক্ষিণ গাজার দিকে গেছে।
ঐ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালের চারদিকে ইসরাইলি সেনা এবং হামাসের যুদ্ধ চলছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান সিবিএস নিউজের "ফেস দ্য নেশন" অনুষ্ঠানে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র " হাসপাতালে গোলাগুলি চায় না, যেখানে নিরাপরাধ মানুষ, রোগিরা চিকিৎসা নিচ্ছে এবং গোলাগুলির মধ্যে পড়েছে এবং আমরা এ ব্যাপারে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেসের সাথে সক্রিয়ভাবে কথা বলেছি।"
নেতানিয়াহু বিস্তারিত উল্লেখ না করে বলেন, আমরা "শিফা হসপিটালকে জ্বালানি দিতে চেয়েছি" কিন্তু "তারা তা নেয়নি"।
সালিভান বলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন "ততক্ষণ থামবেন না যতক্ষণ না একটা চুক্তি হচ্ছে যার আওতায় জিম্মিদের প্রত্যেকে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাবে।"
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার জানিয়েছেন, হামাস ৭ অক্টোবরের হামলার সময় আটক করা জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, চলমান সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, যার ৪০ শতাংশই শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলছেন গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু মারা যাচ্ছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।