অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজার হাসপাতালগুলোকে 'অবশ্যই রক্ষা করতে হবে' বলছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন


গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের মুখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে যাচ্ছে।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের মুখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে যাচ্ছে।

  • প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলি সামরিক অভিযানের মাঝে গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেছেন, গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটি এখন আর কাজ করছে না।
  • ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় আল শিফা হাসপাতালে তিনটি শিশুসহ ৩২জন রোগী মারা গেছেন।
  • যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন।
  • সর্বশেষ মৃতের সংখ্যা: ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১,২০০ জন । হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, গাজায় ১১,০০০, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি ছিটমহলের হাসপাতালগুলোকে “অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।” ইসরাইল দাবী করছে, হামাস স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যূহ হিসেবে ব্যবহার করছে।

গাজা সিটির প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরে ইসরাইলি বাহিনী ঘিরে রেখেছে। অবরুদ্ধ হাসপাতালের অবনতিশীল সংকটের পটভূমিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ কথা বলেন। জ্বালানি, খাদ্য ও পানির অভাবে আল শিফার সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সপ্তাহান্তে হাজার হাজার রোগী শিফা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্থিনিসহ ৬৫০ জন রোগী শুধু থেকে গেছে।


A Palestinian girl fills bottles with water in Bureij in the central of Gaza Strip, on November 14, 2023, amid the ongoing battles between Israel and the Palestinian group Hamas. (Photo by MOHAMMED ABED / AFP)
ইসরাইল আর হামাসের মধ্যে চলমান লড়াই এর মাঝে, বুরেজি এলাকায় একজন ফিলিস্তিনি নারী বোতলে পানি ভরছেন।

আল শিফা হাসপাতাল 'বিপজ্জনক'

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, বিদ্যুতের অভাবে অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে আল শিফায় তিনটি শিশুসহ ৩২জন রোগী মারা গেছেন।

চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাবে ডাক্তাররা অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই শিশুসহ যুদ্ধাহত রোগীদের অস্ত্রোপচার করছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, চিকিৎসা কেন্দ্রটি এখন আর হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে না এবং গাজার বৃহত্তম হাসপাতালের পরিস্থিতি “ভয়াবহ ও বিপজ্জনক”।

জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার আরেকটি হাসপাতাল, আল কুদস, রবিবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক সংস্থা ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী যাতে প্রায় ছয় হাজার রোগী, চিকিৎসক ও বাস্তুচ্যুত মানুষকে সরিয়ে নিতে পারে, তার প্রস্তুতি চলছে।

ইসরাইল বলছে হামাস, যাদের যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে, হাসপাতালে বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে নিজেদের রক্ষা করছে, এবং মেডিকেল কম্পাউন্ডের ভেতরে ও নিচে তাদের একটি কমান্ড সেন্টার রয়েছে। তবে ইসরাইল তাদের দাবীর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি।

হামাস এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষ উভয়ই ইসরাইলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া

XS
SM
MD
LG