কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকাতে বোমাবর্ষণ করেছে। তারা এখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত কিন্তু কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানটির দিকে সেনা পাঠাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সৈন্যরা জানিয়েছে রাশিয়া ভয়ানক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
ইউক্রেনীয়রা বলছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে ছোট শহরটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শহরটি রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের রাজধানী ডনেটস্ক থেকে ফ্রন্টলাইনের দিকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। মস্কো যে চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণ করেছে এটি সেগুলোর মধ্যে একটি।
রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সালে আভদিভকা দখল করে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটি ফিরিয়ে নেয়ার আগে এটিকে অল্প সময়ের জন্য দখলে রাখে এবং তখন থেকেই শহরটিকে সুরক্ষিত করে চলেছে।
আভদিভকার সেনা প্রশাসনের প্রধান ভিটালি বারাবাশ বলেন, যুদ্ধের আগে শহরটির জনসংখ্যা ছিল ৩২ হাজার। এর মধ্যে বর্তমানে ১৪০০ জন বাসিন্দা শহরে অবশিষ্ট রয়েছে। বারাবাশ রাশিয়ার আক্রমণকে ভয়াবহ বলে অভিহিত করেছেন।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত বছরের শেষের দিকে খেরসন ত্যাগ করেছিল কিন্তু এখনো তারা নিয়মিতভাবে দ্যনিপ্রো নদীর পূর্ব তীর থেকে এলাকাটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ-অধিকৃত জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় আহত হয়ে তাদের একজন সাংবাদিক মারা গেছেন।
বরিস মাকসুদভ জাপোরিঝিয়াতে কাজ করার সময় আঘাত পেয়েছেন- রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তরের এমন ঘোষণার একদিন পর রাশিয়ান নেটওয়ার্ক তার মৃত্যুর ঘোষণা দেয়।
বুধবার রাতের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি মিত্রদের কাছ থেকে পাওয়া নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের সংবাদ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে তার দেশের বিমান প্রতিরক্ষার জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জেলেন্সকি বলেন, এই সহায়তা ইউক্রেনের নগর ও শহরগুলোকে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করবে। তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা প্রতি মাসে আক্ষরিক অর্থে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।