মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশিত করা হয়।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাঁরা টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন।
একই সঙ্গে ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দেন।
২০ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রী ও তিন উপদেষ্টাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যতক্ষণ না পদত্যাগপত্র গৃহীত হচ্ছে ততক্ষণ তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগের পর এখন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৪ জন। এর মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণায় তিনি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
পদত্যাগ করা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
এদিকে পদত্যাগ করা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
মাহবুব হোসেন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলে যাবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদটি শূন্য হলেও সেখানে পূর্ণ মন্ত্রী থাকায় কাউকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও জানান উপদেষ্টাদের দায়িত্ব কাউকে বণ্টন করা হচ্ছে না।
এ ছাড়াও নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন সরকার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। আমাদের কাছে যদি বিবেচ্য বিষয় থাকে সেটার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক চাইব।