যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে চুক্তির ষষ্ঠদিনে হামাস জঙ্গিরা বুধবার আরও ইসরাইলি জিম্মিকে মক্তি দিয়েছে। এ দিকে মধ্যস্থতাকারীরা লড়াইয়ে বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য এবং ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে আরও জিম্মিকে মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে অস্ত্র বিরতি উঠে যাওয়ার কথা আর তাই কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও ইসরাইলের কর্মকর্তারা এই মর্মে আলোচনার জন্য কাতারে বৈঠক করছেন যে জিম্মি ও বন্দিদের বিনিময়ের জন্য কী ভাবে এবং কতদিন পর্যন্ত লড়াই থামিয়ে রাখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বৃহস্পতিবার ইসরাইলে যাওয়ার কথা। তিনি ব্রাসেলস’এ সংবাদদাতাদের বলেন যে চুক্তিটি বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে , “ আরও জিম্মি স্বদেশে ফিরে আসতে পারবেন এবং বাস্তুচ্যূত ফিলিস্তিনিদের জন্য আরো মানবিক সহযোগিতা পাঠানো যাবে”।
ব্লিংকেন বলেন, “স্পষ্টতই সেটাই আমরা চাই। আমি মনে করি সেটা ইসরাইলও চায়। তারা তাদের লোকজনকে ফিরিয়ে আনতে গভীর ভাবে আগ্রহী”।
কাতার সিএনএন’কে জানিয়েছে যে তারা এ ব্যাপারে “খুব আশাবাদী”যে এই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।
হামাস প্রতিদিন আরও দশজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরাইল আরও বন্দিকে মুক্ত করবে এমন শর্তের অধীনে যুদ্ধবিরতি দুইদিন বাড়ানো হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ১২ জন জিম্মিকে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ১২ জন গাজায় বন্দি ছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন ইসরাইলি ও দুজন বিদেশী নাগরিক। বিনিময়ে ইসরাইল ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করেছে। পশ্চিম তীরের একটি কারাগার এবং জেরুজালেম আটক কেন্দ্র থেকে ১৫ জন নারী ও ১৫ জন যুবককে মুক্ত করা হয়। আধা-সরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব একথা জানায়।
হামাস জঙ্গিরা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে তাদের তাণ্ডব চলাকালীন প্রায় ২৪০ জনকে ধরে নিয়ে যায়। ইসরাইলে তারা প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করেছিল। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, পাল্টা আক্রমণে ইসরাইল গাজায় পনেরো হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।
ছয় সপ্তাহের ব্যাপক ইসরাইলি বিমানহামলা এবং স্থল আক্রমণের পর গাজায় প্রথম স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে।
ইসরাইল-হামাস দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি বৈঠক হবার কথা।
ভয়েস অফ আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যুরো প্রধান নাইকি চিং এবং হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা আনিতা পাওয়েল এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।