যত বাধাই আসুক, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত নির্বাচনের ট্রেন কোথাও থামবে না বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন চলছে। আর যত বাধাই আসুক না কেন, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ ট্রেন কোথাও থামবে না।” তিনি বলেন, “বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও, তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, “সারা দেশে নির্বাচন ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২/১টা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিল কি না; তার চেয়ে জনগণের অংশগ্রহণ কেমন; সেটা বেশি করে ভাববার বিষয়।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা, সন্ত্রাস করছে, সে বিষয়ে টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল) কিংবা সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক), তাদের মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলে।”
তিনি বলেন, “ইউরোপ, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকাসহ অনেক দেশেই বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন হয়। সেসব নির্বাচনকে তো কেউ অবৈধ মনে করে না। কারণ, যে ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, সেখানে ২/১টা দল না এলে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যাবে; এটা বলা যায় না।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে, বিষয়টা এমন নয়। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন বন্ধুত্বেরই অংশ। আমাদেরকে তাদের দরকার। আবার তাদেরকে আমাদের দরকার।”
রবিবার থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আবার সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন। ৩১ অক্টোবরের পর থেকে এটি বিএনপির নবম দফার অবরোধ কর্মসূচি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, “রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ।
তিনি বলেন, “সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য এই অবরোধ করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।