বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন যে তাদের আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি কাল্পনিক মামলা দায়ের এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “ আমাদের চলমান আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত, কারণ সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “যারা আন্দোলন করছে, তাদের এখন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাদের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সবাইকে শুধু রাজপথে নামার জন্য কারাগারে রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যারা অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মুক্তি দাবি করছি এবং আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারী সরকার, দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মন জয় করতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জয়ী হবো।”
গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসা এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ। গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার জন্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। আমরা জানি, মানুষ ভোট দিতে যাবে না। কিন্তু তারা (সরকার) নাটকের মঞ্চের মতো অনেক কেন্দ্র প্রস্তুত করবে। পরে সন্ধ্যায় তারা ঘোষণা করার চেষ্টা করবে যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হয়েছি।” দাবি আদায়ের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, “সরকার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতামত উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের জন্য প্রহসনের নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।”
জুনায়েদ সাকি আরো বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হতে দেয়া যাবে না।”