বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের সংঘাত বা বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে, আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। জানান, “কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্ত নেবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচন বিমুখ করতে পারেনি। জনগন পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি হবে।” তিনি আরো বলেন, “নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিলো, তা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দিতে তারা উন্মুখ হয়ে আছে।”
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন যে তাদের আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি কাল্পনিক মামলা দায়ের এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “যারা অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের মুক্তি দাবি করছি এবং আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে আন্দোলন দমন করা যাবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমাদের চলমান আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত, কারণ সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করতে পারবে না।” তিনি বলেন, “বিশ্বের কোনো স্বৈরাচারী সরকার, দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মন জয় করতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য এবং জনগণের ভোটাধিকারের জন্য। আমরা অবশ্যই এই লড়াইয়ে জয়ী হবো।”