অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসরাইল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা আরো বিস্তৃত করছে


ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে গাজা ভূখণ্ডের সীমান্তে ইসরাইলি সামরিক ট্যাংকগুলি পাঠানো হয়। (৪ ডিসেম্বর, ২০২৩)
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে গাজা ভূখণ্ডের সীমান্তে ইসরাইলি সামরিক ট্যাংকগুলি পাঠানো হয়। (৪ ডিসেম্বর, ২০২৩)

মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরা সংঘাত থেকে নিরাপদে সরে যেতে পারছে না বলে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ইসরাইলি ট্যাংক ও সৈন্যরা গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের কাছাকাছি পোঁছে গেছে। ইসরাইলি বিমান গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খান ইউনিসের একাধিক এলাকার লোকজনকে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অধিদপ্তর বলছে, গাজায় আনুমানিক ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। অপরদিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিয়োজিত জাতিসংঘের সংস্থা।

যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে গাজার শহরগুলোতে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অভিযানের ফলে অনেক লোক গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণে সরে যায়।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, গাজার অভ্যন্তরে মানবিক কাজ করার জায়গা "ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে" এবং এখানে প্রয়োজনীয় সরবরাহের পরিমাণ “একেবারেই অপর্যাপ্ত"।

হেস্টিংস আরও বলেন, গাজায় আর কোন নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই। যথাযথ পরিবেশ পরিস্থিতির অভাবে গাজার জনগনের কাছে ত্রান পৌঁছে দেয়ার অভিযানগুলো কার্যকর করা সম্ভব নাও হতে পারে।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির সভাপতি মিরজানা স্পোলজারিক সোমবার গাজা সফরকালে ফিলিস্তিনিদের ভয়াবহ দুর্দশার কথা উল্লেখ করে, এক বিবৃতিতে বলেন, “মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা অসহনীয়”।

ইসরাইলের অভিযোগ, হামাস হাসপাতাল এবং অন্যান্য বেসামরিক এলাকায় এবং সেগুলোর নিচে নিজেদের গোপন আবাস স্থল স্থাপন করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের ইসরাইলি সতর্কতা উপেক্ষা করতে উত্সাহিত করে তাদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসারাইল হামলায় ১২০০ মানুষ নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হয়।

অপরদিকে, গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় কমপক্ষে ১৫ হাজার ৮৯০ জন নিহত হয়েছে। যাদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।

XS
SM
MD
LG