অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সৈন্যদের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র


ওয়াশিংটনে বিচার দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩।
ওয়াশিংটনে বিচার দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩।

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চারজন সৈন্যকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর এই অপরাধকে আমেরিকার প্রসিকিউটররা যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নাগরিকের সঙ্গে ঘটা জঘন্য নিগ্রহ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রায় ৩০ বছরের পুরনো যুদ্ধাপরাধ আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের দায়ের করা প্রথম এই অভিযোগে রয়েছে যুদ্ধাপরাধ ঘটানোর জন্য ষড়যন্ত্র, বেআইনি আটক, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ। ২০২২ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে খেরসন অঞ্চলের মাইলভ গ্রাম দখল করার পর রুশ সেনারা এমন বর্বরতা চালায়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বুধবার বলেন, “ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার নৃশংস আক্রমণের ভয়াবহতা বিশ্ব যেমন দেখেছে, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রের বিচার দফতরও দেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিচার দফতর ও আমেরিকার জনগণের দীর্ঘ স্মৃতি রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংসতার কথা আমরা ভুলবো না এবং যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনার কাজ আমরা থামাবো না।”

নয় পৃষ্ঠার অভিযোগ অনুযায়ী, এই অপরাধীদের মধ্যে রয়েছে সুরেন সিরানোভিচ এমক্রচিয়ান ও দ্যমিত্রি বুদনিক। এদেরকে রুশ সশস্ত্র বাহিনী বা তথাকথিত দনেৎস্ক পিপল’স রিপাবলিকের কমান্ডিং কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই অভিযোগপত্রে উল্লেখিত বাকি দুই সৈন্যর নাম ভ‌্যালেরি ও নাজার। এদের নামের প্রথম অংশটুকুই শুধু জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া এক তদন্তের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এই চারজন সৈন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছিল।

XS
SM
MD
LG