বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছেন ৫৬০ জন বিক্ষুব্ধ প্রার্থী।
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে এই আপিল করা হয়। আগামী রবিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আপিলের ওপর শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে মঙ্গলবার ( ৫ ডিসেম্বর)) ৪২টি, বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ১৪১ টি, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ১৫৫ টি, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ৯৩ টি এবং শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) ১৩১ টি আপিল আবেদন জমা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ আপিল করা হয় এবং মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে কয়েকটি আবেদন করা হয়।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ গত ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার ৯৮৫ টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও ৭৩১টি বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়। কারণগুলো হলো; স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। আর, ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করা হবে।
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত (ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত) প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।