অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে শীতের পদধ্বনি


বাংলাদেশে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩।
বাংলাদেশে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩।

বাংলাদেশের ঋতু পরিক্রমায় শীতের শুরু পৌষে। শেষ হয় ফাল্গুনে, বসন্ত আগমনের মধ্য দিয়ে। এবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে যেন একটু আগেই। রবিবার উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে পারদ নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন থেকে আরো নামবে তাপমাত্রা। এদিকে, ইতোমধ্যেই কুয়াশা নেমে আসছে নদী এলাকায়। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল; ফেরি পারাপার। এর ফলে, ফেরিঘাটে আটকা পড়ছে যানবাহন। মোট কথা, শীতের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ।

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরের মানুষ।

নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে রাড়ছে তীব্রতা। গত সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে ওঠানামা করছে।

শীত নিবারনের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ শীত নিবারণের উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের রমজান আলী বলেন, “কয়েকদিন থেকে খুব শীত পড়ছে।সকালে যে শীত পড়েছে, তাতে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর বেশ সমস্যা হবে।”

শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভাণ্ডারে মজুদ রয়েছে আরো ১৫ হাজার কম্বল।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে তাপমান আরো কমতে পারে।

ঘন কুয়াশায় নৌ চলাচল ব্যাহত

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাঝ নদীতে আটকা পড়ে যানবাহনবোঝাই ৪টি ফেরি।

নৌযান চলাচল শুরু হয় রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার পর। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়।

শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে, জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে, জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে।

দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১টা থেকে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ৪টি ফেরি মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে আটকা পড়ে।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষমান গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। সৃষ্টি হয় যানজট, দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক নূর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, “কুয়াশার কারণে শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG