সোমবার ইসরাইলি বাহিনী এবং হামাস যোদ্ধারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে এবং এর আশেপাশে প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলেও সংঘর্ষ চলছে।
ইউ এন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান এফেয়ার্স বলেছে, প্রচণ্ড লড়াই এবং প্রধান সড়কগুলোতে প্রবেশের বিধিনিষেধের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব কারণে মিশরের সীমান্তের কাছে রাফাহ ছাড়া গাজার অন্যান্য অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ বলতে গেলে বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হামাসের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।
হামাসকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
রবিবার যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরাইলের সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের অভিপ্রায় হলো যতটা সম্ভব ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা। তাদের সেই অভিপ্রায় ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেয়ার জন্য জরুরি বৈঠক করবে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর এপিকে বলেছেন, শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের যে প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে, এটিও সেটির মতোই।
৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা অতর্কিতভাবে দক্ষিণ ইসরাইলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এই হামলায় হামাস প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে। এরপর ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার শপথ নেয়।
২০০৭ সাল থেকে হামাস গাজা শাসন করছে। তারা এখনো প্রায় ১৪০ জন জিম্মিকে আটকে রেখেছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলের বিমান ও স্থল অভিযানে গত সাত সপ্তাহে প্রায় আঠারো হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
গাজায় কাজ করা ২৫টি দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে প্যালেস্টাইন মেডিকেল রিলিফ কমিটি ইউনিয়ন। এটির প্রধান এবং ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, “গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।”
জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারিট বাশীর এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।