বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকদের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাজা দিচ্ছে সরকার।
রাজধানী ঢাকার বাংলামোটর এলাকায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ অভিযোগ করেন রিজভী। বলেন, “বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারারুদ্ধ করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।”
বিএনপি নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট স্থাপন করেছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, সেসব আদালতে দিন-রাত চলছে কাল্পনিক মামলার বিচার। পুলিশ কাল্পনিক মামলা দায়ের করছে এবং তারা সাক্ষ্য দিচ্ছে।”
“কিছু পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক আইন উপেক্ষা করে একের পর এক রায় দিচ্ছেন;” যোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন যে মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরানো হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “তারাই (ক্ষমতাসীন দল) শুধু মাঠে আছে। এক সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। এরপর আপিল করে বাতিল হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ করা হচ্ছে।”
আব্দুল মোমেন: 'রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না'
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। বলেন, “আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি।”
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরীহ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন যে সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও তাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জানতে চাইলে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, “প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, কারণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক অংশীদার জড়িত।তবে, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।”