ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে আল জাজিরার এক সাংবাদিক নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার ক্যামেরা পার্সন সামের আবুদাকা ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হন। একই ঘটনায় আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল দাহদুহ আহত হন।
খান ইউনিসের একটি স্কুলের ভেতরে আবুদাকা গোলার আঘাতে আহত হয়েছিলেন বলে রয়টার্স থেকে জানা যায়। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি গোলাবর্ষণের কারণে প্যারামেডিকরা তার কাছে সাথে সাথেই পৌঁছাতে পারেনি। তার কাছে চিকিৎসা সুবিধা পাঠাতে প্রায় ৫ ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। যার কারণে চিকিৎসকরা এরপর পৌঁছালেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আল জাজিরার ব্রেকিং নিউজ অ্যালার্টে সাংবাদিকের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়েছে, "ইসরাইলি বাহিনী মেডিকেল টিমকে সেই মূহুর্তে তার কাছে পৌঁছাতে বাধা প্রদান করেছে।”
১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ কারী আবুদাকা, ২০০৪ সালে আল জাজিরায় যোগ দেন। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গিয়েছেন।
আঘাতের পরিমাণ কম থাকায় দাহদুহকে নাসের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে মধ্য গাজার নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরাইলি বিমান হামলায় তার স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরপরই দাহদুহ আবার তার কাজে যোগদান করেন।
আবুদাকার মৃত্যুর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেছিলেন, “সহিংস হামলা, সহিংসতা থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারাটা সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ“
শুক্রবার আবু দাকার পরিবার এবং তার আল জাজিরার সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কার্বি।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস জানিয়েছে, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ কভার করতে গিয়ে আবুদাকার মৃত্যুর আগে শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত ৬৩ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৬ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরাইলি ও বাকি তিনজন লেবাননের নাগরিক।