ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, শনিবার ইরানে একজন ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আইআরএনএ জানিয়েছে, অভিযুক্ত এজেন্টের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য চুরি করে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
আইআরএনএ বলেছে, "এই ব্যক্তি বিদেশী পরিষেবাগুলির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, বিশেষ করে মোসাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং সহযোগীদের সাথে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, মোসাদ সহ বিদেশী পরিষেবাগুলিতে নথি সরবরাহ করেছিলেন৷”
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তান ও বেলুচিস্তানের রাজধানী জাহেদানে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি "ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরোধী দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার " করার লক্ষ্যে "মোসাদ অফিসার" এর কাছে গোপনীয় তথ্য হস্তান্তর করেছিল। কথিত হস্তান্তর কোথায় হয়েছে তা বলা হয়নি।
কখন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়, তবে আইআরএনএ বলেছে তার একটি আপিল প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
প্রদেশের একটি পুলিশ স্টেশনে বেলুচ জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১১ জন নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করার একদিন পর এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রাস্ক শহরে যেখানে হামলাটি হয়েছিল সেখানে শনিবার ওই ব্যক্তিদের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সংঘর্ষে জইশ আল-আদল গ্রুপের দুই জঙ্গিও নিহত হয়েছে।
দরিদ্র সিস্তান ও বেলুচেস্তান প্রদেশ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এবং ঐতিহাসিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনী ও সুন্নি জঙ্গিদের মধ্যে সেখানে সংঘর্ষ হয়ে আসছে। প্রদেশের জনসংখ্যা প্রধানত সুন্নি মুসলিম, আর অধিকাংশ ইরানি শিয়া।
২০২২ সালের এপ্রিলে, ইরানী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা বলেছিল যে সেই তিন ব্যক্তি মোসাদের সাথে সংযোগ আছে এমন একটি গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত। যদিও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাদের মধ্যে একজন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ইরান ও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে। ইসরাইল ইরানকে তার সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখে এবং ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে বারবার সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ইরান অস্বীকার করে যে তারা এই ধরনের অস্ত্র চাইছে এবং যেকোনো আগ্রাসনের কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।