গাজায় হামাস জঙ্গিদের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের শত শত সদস্য, বন্ধু ও সমর্থকরা তেল আবিবের‘হোস্টেজেস প্লাজায়’ শনিবার সমবেত হন। তারা ইসরাইলি সরকারকে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানান।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতেনিয়াহু জিম্মিদের মৃত্যকে এক “অসহনীয় বিয়োগান্তক ঘটনা” বলে উল্লেখ করেন এবং “সকল জিম্মিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা” চালিয়ে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
সোনাহিনীর প্রধান মুখপাত্র, রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন যে ইসরাইলি বাহিনী ভুল করে জিম্মিদের হুমকি মনে করেছিল যখন তারা সাদা পতাকা নাড়িয়ে একটি ভবন থেকে নেমে আসছিল। এই পতাকা নাড়ানোর উদ্দেশ্য ছিল এটা বোঝানো যে তারা কোন হুমকি নয়।
তিনি বলেন এটা পরিস্কার বোঝা যায়নি যে এই জিম্মিদের কি হামাস মুক্তি দিয়েছিল না কি তার পরিত্যাগ করেছিল। তারা গাজার শেইজাইয়া এলাকায় নিহত হয়। সেখানেই ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও হামাস জঙ্গিদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। হাগারি বলেন সেনাবাহিনী গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
প্রথম দু জন জিম্মিকে গুলি করার পর , তৃতীয় জন ভবনটির ভেতরে পালিয়ে যায় এবং সাহায্যের জন্য হিব্রু ভাষায় চিৎকার করতে থাকে। কমান্ডার অস্ত্র বিরতির নির্দেশ দেন কিন্তু আরেকবার বন্দুকের গুলি চালালে তৃতীয় জনও নিহত হয়।
ইসরাইলি সংবাদপত্র হারেটজ জানায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হচ্ছে সৈন্যরা যারা তৃতীয় জিম্মি ব্যক্তিকে ভবনের ভেতর অনুসরণ করে যায়, মনে করছে যে সে হামাস সদস্য ছিল এবং তাদেরকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
কী ভাবে জিম্মিরা মারা গেল তার বিবরণ দেখলে ইসরাইলি স্থলবাহিনীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ফিলিস্তিনিরা বহু বার বলেছে যে নিরাপদ স্থানে পালানোর সময়ে ইসরাইলি সৈন্যরা অসামরকি লোকদের উপর গুলি বর্ষণ করেছে ।
গাজায় শনিবারও ইসরাইলি বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিহিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছিল। তবে গাজায় হামাস নেতাদের আক্রমণের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার উত্তরাঞ্চলের অধিবাসীরা রাতভর প্রচন্ড বোমা বর্ষণ এবং বন্দুকযুদ্ধের শব্দের কথা জানিয়েছেন। শনিবার গাজা সিটিতে এবং কাছাকাছি জাবালিয়া শহরের শরণার্থী শিবির্ওে আক্রমণের খবর পা্ওয়া গেছে।