ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলার অধিকার যেকোনো রাজনৈতিক দলের আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে কোনো ধরনের উস্কানি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করতে হবে।
মো. আলমগীর বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না চায়, সেটা তাদের ইচ্ছা। তারা তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে যোগ নাও দিতে পারে। তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারেন। এখানে কোনো সমস্যা নেই। তবে এটা শান্তিপূর্ণভাবে বলতে হবে।”
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারী, ২০২৪) ভোটকেন্দ্রে না যাবার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানায়।
মো. আলমগীর অবশ্য বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলার সময় কোনো ধরনের উস্কানি, নাশকতা ও নৈরাজ্য করা যাবে না।
তিনি বলেন, এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে যেকেউ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অধিকার রাখে, যেমনটি ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৪টি জেলা সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব জায়গায় নির্বাচনী পরিবেশ ভালো এবং কোথাও কোনো সমস্যা নেই।
মো. আলমগীর বলেন, “সব জায়গায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সেখানে জনজীবন খুবই স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখেছি।”
তিনি বলেন, প্রশাসন, গোয়েন্দা ও পুলিশ তাদের জানিয়েছে যে, কোথাও নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো হুমকি নেই।
ট্রেনে হামলাসহ সহিংসতার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ও নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী নৈরাজ্য সৃষ্টি করা অপরাধ। তাই কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি।
মো. আলমগীর বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করছে।