আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালিবান রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধি করেছে। ২০২২ সালে তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার টন। যা গত এগারো মাসে বেড়ে ৭ লাখ ১০ হাজার টনের বেশিতে পৌঁছেছে। এর ফলে ৩০ কোটি ডলারের বেশি অর্থমূল্যের তেল বাণিজ্য হয়েছে। তালিবানের কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছন।
কোন উপায়ে নিষেধাজ্ঞায় পর্যদূস্ত তালিবান কোন আর্থিক খাতের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে রাশিয়াকে অর্থ প্রদান করে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে আফগানিস্তানের সাথে ব্যাংকিং লেনদেন কমে গেছে।
প্রধানত মানবিক কার্যক্রমের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞাগুলো এই শর্তে শিথিল করেছে যে,তা তালিবান নেতা ও সংস্থাগুলোকে উপকৃত করবে না।
গত বছর তালিবান কর্মকর্তারা রাশিয়ার সাথে ১০ লাখ টন পেট্রোল, ১০ লাখ টন ডিজেল এবং ৫ লাখ টন তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানির জন্য একটি অস্থায়ী চুক্তি করে।
উইলসন সেন্টারের ইকোনমিক স্টেটক্রাফট ইনিশিয়েটিভের ডিরেক্টর কিম্বার্লি ডোনোভান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন,“যদিও তালিবান এবং রাশিয়া পৃথক পৃথক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে, এতে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থার ও এখতিয়ারের বাইরে তাদের একে অপরের সাথে বাণিজ্য করার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করার মতো কিছু নেই।”
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি, তবে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার রাজস্ব হ্রাস করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার তেল বিক্রয়ের ওপর মূল্য সীমা কার্যকর করেছে।
আফগানিস্তানে রাশিয়ার তেল রপ্তানিকে অকিঞ্চিৎকর বলে মনে করা হয়। কারণ দেশটির তেলের মোট আয় শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে ১ হাজার ১শ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
.
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।