বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কমিশনের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৭ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হবে।
সারাদেশে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। আর, আসন্ন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা, ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্র এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে অবস্থিত কেন্দ্রগুলোর জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে, প্রতি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে, দুই জন অস্ত্রধারী পুলিশ, এক জন অস্ত্রধারী আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী এক জন আনসার, লাঠি হাতে ১০ জন আনসার এবং এক জন বা দুই জন গ্রামপুলিশ।
তবে, গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের ক্ষেত্রে (ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি নিরাপত্তা দল দায়িত্বে থাকবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল।
এই দলে থাকবে, তিন জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য, এক জন অস্ত্রধারী আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেক জন আনসার এবং লাঠিধারী ১০ জন আনসার সদস্য।
গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে। এক্ষেত্রে, অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য তিন জনের পরিবর্তে চার জন হবে।
বিশেষ এলাকা, অর্থাৎ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দুর্গম এলাকায়, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অন্যান্য গ্রামীণ এলাকার মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে, পাঁচ দিন (যাতায়াতের সময়সহ) ভোট কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন থাকবে এবং ভোটের একদিন পর পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে।
এছাড়া, নির্বাচনী এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
তারা ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে, নির্বাচনী এলাকায় বিপুল সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে বলে ইসির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ, ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
কোনো বিরতি ছাড়া, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করার কথা রয়েছে।