বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবং অন্য দলগুলো অংশ নিলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণ বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের বাইরে থাকুক, এটা আমরা কখনোই চাইনি।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “অনেকেই নির্বাচনে এসেছেন; কিন্তু বিএনপিসহ যারা আসেনি, তারা আসলে নির্বাচন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো।”
তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
“সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্রকে সুস্থ ও সুষ্ঠু করবে;” যোগ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, “বিএনপি মনে করেছিলো তারা না থাকলে নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না।”
বিএনপি আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “এখন তারা সরকার কীভাবে ব্যর্থ হবে, সে বিষয়ে নানান গল্প বলে যাচ্ছে।”
দলের এজেন্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, “এবারের নির্বাচনটা আমরা খুব ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে বদনাম নিতে চাই না।”
ইউক্রেন, সুদান ও মাধ্যপ্রাচ্য সংকটের কথা তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “এরকম পরিস্থিতিতে আমরাও সংকটে আছি। দোষটা বড় দেশগুলোর, দায় পড়ছে আমাদের ওপর।”
তারেক রহমানের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তিনি এখন রাজনীতি করছেন না; রাজনীতি ধ্বংস করছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন।”