বিহারে বর্তমানে ক্ষমতাসীন 'মহাগঠবন্ধন' সরকার, যেখানে শরিকি দলগুলি হল - রাষ্ট্রীয় জনতা দল, জনতা দল ইউনাইটেড, জাতীয় কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) লিবারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)।
শরিক দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতা নীতীশ কুমার বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। এবার দলের সভাপতি মনোনীত হলেন নীতীশ কুমার। এই পদে থাকা লোকসভার সদস্য লালন সিং শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছেন।
রাজধানী দিল্লিতে শুক্রবার ভারতীয় সময় সকালে শুরু হয় জেডিইউ-এর জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানেই লালন সিংয়ের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দলীয়ভাবে গৃহীত হয়।
জেডিইউ বর্তমানে নীতীশ কুমার ও লালন সিং - এই দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের সঙ্গে দলীয় সভাপতি লালন সিংহের সম্পর্কের ইদানীং অবনতি হয়। দু’জনের মধ্যে বাক্যালাপ বন্ধ ছিল।
লালন সিংয়ের দলীয় সভাপতির পদ ছাড়ার কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, নীতীশ কুমার একাধিক কারণে লালনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন।
এক, নীতীশকে জেডিইউ-এর তরফে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে লালন সিং বিশেষ উদ্যোগ নেননি।
দুই, তার সঙ্গে ইদানীং আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। ফলে দলীয় পদ ছাড়ার পর লালন সিং জেডিইউতে থাকবেন কি না তা নিয়েও নীতীশ শিবিরে সন্দেহ, সংশয় দেখা দিয়েছে।
লালনের পদত্যাগের কথা শুক্রবার ভারতীয় সময় দুপুরে জেডিইউ-এর জাতীয় মুখপাত্র কেসি ত্যাগী সংবাদমাধ্যমকে জানান। ফলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং দলীয় সভাপতি, দুই শীর্ষ পদই নিজের দখলে রাখলেন নীতীশ কুমার।
লালন সিংকে যে দল আর সভাপতি পদে চাইছে না সেই বার্তা বৈঠকের শুরুতেই স্পষ্ট ছিল। দলের সমাবেশ স্থলে তার কোনও ছবি ছিল না সকালে। পরে একটি ছবি বৈঠক কক্ষের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও জনতা দল ইউনাইটেড - দুই দল সূত্রেই খবর লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই লালন সিংকে সরাতে চেয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সভাপতিত্ব হারিয়ে তিনি লালুপ্রসাদের দলে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নীতীশের ইচ্ছাতেই গত দু'বছর দলের সভাপতি পদে ছিলেন লালন সিং।
জেডিইউ সূত্রে খবর, তাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার দাবিতে দল যথেষ্ট কর্মসূচি নেয়নি বলে অভিযোগ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের।