অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের যুদ্ধজাহাজ আলবোর্জ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা তাসনিম


২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর ইরানি নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগর অঞ্চলের পোর্ট সুদানে নোঙ্গর করছে। ফাইল ছবি।
২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর ইরানি নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগর অঞ্চলের পোর্ট সুদানে নোঙ্গর করছে। ফাইল ছবি।

সোমবার আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের যুদ্ধজাহাজ আলবোর্জ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং তেহরানের মিত্র বাহিনী সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জাহাজে হামলার প্রেক্ষাপটে মূল শিপিং রুটে উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় এটি ঘটলো।

তাসনিম আলবোর্জের মিশনের বিশদ বিবরণ দেয়নি, তবে বলেছে, ইরানি যুদ্ধজাহাজগুলো ২০০৯ সাল থেকে জাহাজের রুট, জলদস্যুতা প্রতিরোধ এবং অন্যান্য কার্য সম্পাদনের জন্য উন্মুক্ত জলসীমায় কাজ করছে।

নভেম্বর থেকে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুথিরা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে হামাসের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনে লোহিত সাগরে জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

প্রতিক্রিয়ায় অনেক বড় বড় শিপিং কোম্পানি সুয়েজ খাল দিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আফ্রিকার কেপ অফ গুড হোপের আশেপাশের দীর্ঘ এবং আরও ব্যয়বহুল রুটে চলাচল করছে। সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পরিচালিত হয়।

নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে সংবাস সংস্থা তাসনিম বলে, আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজটি বাব এল-মান্দেব প্রণালী হয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক অসমর্থিত রিপোর্টে বলা হয়, এটি শনিবার পরের দিকে গিয়ে পৌঁছায়।

আলভান্দ ডেস্ট্রয়ারটি বুশেহর সাপোর্ট ভেসেলের পাশাপাশি ইরানের নৌবাহিনীর ৩৪তম নৌবহরের একটি অংশ। এটি ২০১৫ সাল থেকে এডেন উপসাগর, ভারত মহাসাগরের উত্তরে এবং বাব এল-মান্দেব প্রণালীতে টহল দিতো বলে জানিয়েছে ইরানের প্রেস টিভি।

যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর বলেছে, তারা ইরানি নৌবাহিনীর পক্ষে কথা বলতে পারে না বা ইরানি জাহাজের গতিবিধি সম্পর্কে অসমর্থিত প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারে না।

১৪ ডিসেম্বর ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি লোহিত সাগরের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “যে অঞ্চলে আমাদের প্রাধান্য আছে, সেখানে কেউ কিছু করতে পারবে না।”

XS
SM
MD
LG