অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাংবাদিক-চলচ্চিত্রকার জন পিলজার মারা গেছেন


ফাইল ছবি - লন্ডনে সিটি অফ ওয়েস্ট মিন্সটার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে সাংবাদিক জন পিলজার। ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০।
ফাইল ছবি - লন্ডনে সিটি অফ ওয়েস্ট মিন্সটার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে সাংবাদিক জন পিলজার। ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০।

অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভুত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা জন পিলজারের পরিবার রবিবার জানিয়েছে, তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪। কম্বোডিয়ার খেমার রুজ পর্ব কভার করার জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

তাঁর পরিবার এক্স (সাবেক ট্যুইটার)-এ এক বিবৃতি পোস্ট করে লিখেছে, পিলজার শনিবার লন্ডনে মারা গেছেন।

১৯৬২ সাল থেকে পিলজার যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছিলেন। সে দেশের বাম-ঘেঁষা সংবাদপত্র ‘ডেইলি মিরর’-এর হয়ে কাজ করতেন। সেই সঙ্গে আইটিভির অনুসন্ধানী প্রোগ্রাম “ওয়ার্ল্ড ইন অ্যাকশন” ও রয়টার্স সংবাদ সংস্থায় কাজ করেছেন।

১৯৭৯ সালে “ইয়ার জিরো: দ্য সাইলেন্ট ডেথ অফ কম্বোডিয়া” নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এই ছায়াছবিতে খেমার রুজের অত্যাচারকে জনসমক্ষে তুলে ধরেছিলেন। এই ছবির জন্য তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ টেলিভিশন আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯০ সালে পিলজার “কম্বোডিয়া: দ্য বিট্রেয়াল” শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন।

সন্তান প্রসবের আগে মায়েরা থালিডোমাইড ড্রাগ নেওয়ার ফলে ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুদের বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দিলে এই শিশুদের ক্ষতিপূরণের জন্য প্রচারণা চালানো হয়। এই প্রচারণার নানা দিক নিয়ে ১৯৭৪ সালে পিলজার একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন যা প্রশংসিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করতেন পিলজার। পাশাপাশি আদিবাসী জনজাতির প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আচরণের কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি।

সাম্প্রতিক কালে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির জন্য প্রচার করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই লড়েছেন অ্যাসাঞ্জ।

আইটিভির মিডিয়া ও বিনোদন বিভাগের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেভিন লাইগো পিলজারকে “প্রচারণামূলক সাংবাদিকতার বিশাল ব্যক্তিত্ব” বলে অভিহিত করেছেন, যিনি দর্শকদের উচ্চমানের বিশ্লেষণ ও মতামত দিতেন যা মূলধারার টেলিভিশনে বিরল ছিল।

XS
SM
MD
LG