মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার আইনসভায় কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করে একটি বিল সহজেই পাস হয়।
ন্যাশনাল এসেম্বলিতে ২০৮-০ ভোটে এই বিল পাস হয়। দুজন সংসদ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
আইনটি ২০২৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে তিন বছর পর্যন্ত জেল বা ২২ হাজার ডলারের বেশি জরিমানা দিতে হবে।
মঙ্গলবার বিলটি পাস হওয়ার ঘটনাটি ছিল বহুকালের খাবার রীতির অবসান ঘটাতে প্রাণী অধিকার কর্মীদের কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি। রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি কিম কেওন হি কট্টর পোষা প্রাণী প্রেমী। তারা বেশ কয়েকটি কুকুর ও বিড়ালকে দত্তক নিয়েছেন। তারাসহ আদর্শ নির্বিশেষে রাজনীতিবিদদের মধ্যে কুকুরের মাংস খাওয়া ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে সমর্থন বেড়েছে।
কুকুর প্রজননকারী এবং বিক্রেতারা আইনটির কঠোর বিরোধিতা করেছে, যদিও আইনটিতে এই শিল্পের সাথে জড়িত কর্মচারী এবং মালিকদের জন্য এই ব্যবসা থেকে বেরিয়ে অন্য কিছু করার জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবসা সাম্প্রতিক দশকগুলোতে হ্রাস পেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে প্রায় ১১০০টির বেশি কুকুরের খামার রয়েছে, যেগুলো থেকে প্রায় ১৬০০ রেস্তোরাঁয় মাংস সরবরাহ করা হয়।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।