ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বুধবার লিথুয়ানিয়া সফর করছেন। তিনি জানান এই সফরে তিনি নিরাপত্তা, নেটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ততা, ড্রোন সহযোগিতা এবং ইউরোপীয় সমর্থনের সমন্বয় বিষয়ে কথা বলবেন।
জেলেন্সকি আরও বলেন, “সেই ২০১৪ সাল থেকে এমনকি রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের সময়ও, ইউক্রেনের প্রতি আপোষহীন সমর্থনের জন্য” লিথুয়ানিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাওসেদার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দুই নেতা লিথুয়ানিয়ান জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। লিথুয়ানিয়ায় বসবাসরত ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তারা।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে জেলেন্সকি মাঝে মাঝে ইউক্রেনের বাইরে ভ্রমণ শুরু করেছেন। বুধবার তিনি বলেন, লিথুয়ানিয়া ছাড়াও, এই সফরে এস্তোনিয়া ও লাটভিয়ায় তিনি যাত্রাবিরতি করবেন।
রাশিয়ার প্রতিদিনের আক্রমণের কারণে, জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেছেন। এ বছর প্রায়শই ইউক্রেনের শহরগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে রাশিয়ার ড্রোন এবং বিশেষত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ সদস্য এবং ২০টিরও বেশিসংখক দেশ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়ার কাছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি এবং ইউক্রেনে রুশ হামলায় এইসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছে।
\বিবৃতিতে বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বর ও ২ জানুয়ারি এই হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে কী সরবরাহ করে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
এই যৌথ বিবৃতিতে অন্যান্য দেশের সাথে আর্জেন্টিনা, কানাডা, ইসরাইল, জাপান, নরওয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন।