অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইকুয়েডর “অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষের” মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট


ইকুয়েডারের কুইটোতে সেনাবাহিনীর টহল।
ইকুয়েডারের কুইটোতে সেনাবাহিনীর টহল।

মঙ্গলবার ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তার দেশ “অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষের” কবলে পড়েছে।

বন্দর শহর গুয়াকিলের একটি পাবলিক টেলিভিশন স্টেশনে একটি স্টুডিওতে সরাসসরি সংবাদ চলাকালীন বন্দুক ও বিস্ফোরক নিয়ে সজ্জিত মুখোশধারী একদল মানুষ সেখানে হামলা চালায়। এর কয়েক ঘন্টা পরে প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দেন।

পুলিশ পরে স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং সন্দেহভাজন ১৩ জন বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করে ও তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তোলে। ওই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

সপ্তাহান্তে কুখ্যাত মাদক গ্যাং লস চোনেরোসের নেতা অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস পালিয়ে যাওয়ার পর এই সংকট শুরু হয়।

বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ইকুয়েডর জুড়ে অসংখ্য বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লস লোবোস গ্রুপের আরেক মাদক পাচারকারী নেতা ফ্যাব্রিসিও কোলন পিকো রিওবাম্বা শহরে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে।

কোলন পিকোর বিরুদ্ধে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট নোবোয়া সোমবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

বছরের পর বছর ধরে ইকুয়েডর সহিংসতায় জর্জরিত। এক সময়ের শান্তিপূর্ণ দেশটি দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে কোকেন পাচারের প্রধান ট্রানজিট রুট হয়ে উঠেছে।

পেরু ইকুয়েডরের সাথে তার অভিন্ন সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে ব্রাজিল, চিলি এবং কলম্বিয়া ইকুয়েডরের নেতার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে। চীন ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে তাদের দূতাবাস এবং ইকুয়েডরে তাদের সকল কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG