বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের অভ্যন্তরে ইরান-সমর্থিত হুথিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনীর প্রতিশোধমূলক হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও নিন্দা দুটোই কুড়িয়েছে। লোহিত সাগরে জাহাজগুলির উপর কয়েক সপ্তাহ ধরে হুথির হামলার পাল্টা জবাব ছিল এই অভিযান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, ফাইটার জেট, সারফেস ভেসেল এবং সাবমেরিন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন এই আক্রমণ চালিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং বাহরাইনের সহায়তায় এই হামলা চালানো হয়।
এক বিবৃতিতে নেটোর একজন মুখপাত্র বলেছেন, “হামলাগুলো প্রতিরক্ষামূলক ছিল এবং বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়।”
একইভাবে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, ১০ জানুয়ারি জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে যে নৌ চলাচলের অধিকার এবং স্বাধীনতার কথা বলা আছে তাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং “আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রাষ্ট্রগুলোর এই আক্রমণের পাল্টা জবাব অধিকার রয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ফ্রান্স তার অংশীদারদের সাথে একযোগে তার দায়িত্ব পালন করবে এবং এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করবে।”
হুথি বিদ্রোহীরা একটি ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, হামলায় পাঁচজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। তিনি “গাজায় ইসরাইলি অপরাধের ধারাবাহিকতা”র যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ সমর্থনের অংশ হিসেবে চালানো এই হামলাকে “নিষ্ঠুর আগ্রাসন” বলে অভিহিত করেছেন।
নেটো মিত্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই হামলাকে ইসরাইল যেমনটা গাজায় করছে সেরকম “শক্তির অসম ব্যবহার” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের বিরুদ্ধে “লোহিত সাগরকে রক্তের সাগরে পরিণত করার” চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন। তিনি উভয় দেশের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির অভিযোগ করেন।
রাশিয়াও হামলার নিন্দা করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ এই হামলাকে “অবৈধ” বলে অভিহিত করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে “আন্তর্জাতিক আইন ব্যবস্থাকে তার কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা করার” অভিযোগ করেছেন।