অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শান্তি আলোচনা চলাকালীন ২০২২ সালে ভারতীয়, চীনা সেনাদের মধ্যে দুবার সংঘর্ষ হয়েছিল


ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের উত্তর-পূর্বে গগনগীরে শ্রীনগর-লাদাখ মহাসড়ক ধরে একটি ভারতীয় সেনা কনভয় এগিয়ে যাচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০। ফাইল ছবি।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের উত্তর-পূর্বে গগনগীরে শ্রীনগর-লাদাখ মহাসড়ক ধরে একটি ভারতীয় সেনা কনভয় এগিয়ে যাচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০। ফাইল ছবি।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বসূচক পুরস্কারের উদ্ধৃতি থেকে উঠে আসা নতুন বিবরণে জানা যায়, ভারতীয় এবং চীনা সেনারা হিমালয়ের সীমান্তে ২০২২ সালে কমপক্ষে দুবার প্রত্যক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে সেখানে তারা একটি তিক্ত স্থবির অবস্থায় ছিল।

এইসব ঘটনায় সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে এবং নয়াদিল্লি ও বেইজিং কয়েক দশকের মধ্যে তাদের সবচেয়ে খারাপ সামরিক সংঘাতের সমাধানের জন্য ধারাবাহিক কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার সময় এটি সংঘটিত হয়।

এসব ঘটনায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। দুই বছর আগে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই এলাকায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং চারজন চীনা সেনা নিহত হয়েছিল।

ভারতের লাদাখ অঞ্চলে এই সংঘর্ষগুলো হয়। সর্বশেষ সংঘর্ষ ২০২২ সালের নভেম্বরে হয়েছিল বলে জানা গেছে। এতে বোঝা যায়, অনির্ধারিত সীমান্তে পূর্বের রিপোর্টের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে উত্তেজনা অব্যাহত ছিল।

মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোন জবাব দেয়নি।

একটি উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ঘটনায় “পিপলস লিবারেশন আর্মির বেশ কিছু সেনা পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে একটি ভারতীয় সেনা পোস্ট অঞ্চলে আক্রমণ করেছিল।”

এতে বলা হয়েছে, শারিরীক ধ্বস্তাধ্বস্তির সময়ে , একজন ভারতীয় সেনা কমপক্ষে চারজন চীনা সেনাকে আহত করে এবং তাদের রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে “তাদেরকে ফিরে যেতে বাধ্য করে।”

২০২২ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় ঘটনায়, ভারতীয় সেনারা “৪০ থেকে ৫০ জন সেনার একটি দল” যারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল তাদের প্রতিহত করে। আরেকটি উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাদের একটি ইউনিট আক্রমণ করে তাদেরকে আহত করে, “এভাবে সেই চৌকিটি দখল করার শত্রুর পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়।”

XS
SM
MD
LG