আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন দেশে-বিদেশে গুজব ছড়াছে। আর এর মাধ্যমে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, “তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে গুজব সন্ত্রাস যোগ রয়েছে।”
সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। “তারা এই পরিস্থিতি-কে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে;” যোগ করেন তিনি।
বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতো, তাহলে হঠাৎ করে তাদের এমন পতন হতো না বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, “সরকার উৎখাতের চেষ্টা করতে গিয়ে তারা এখন গর্তে পড়েছেন।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান যে নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে সংসদে প্রধান বিরোধী দল।
মঈন খান: ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনসমর্থন নেই’
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই, জনসমর্থন নেই। তাই যেকোনো মুহূর্তে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।”
মঈন খান বলেন যে অনেকে তাকে প্রশ্ন করেন এমন একটি নির্বাচন করার পর, এই সরকার আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবে কি না।
তিনি বলেন, “আমি তাদের বলতে চাই, ১৯৯০ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একদিন আগেও এরশাদ সরকার জানতো না, তাদের এভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।”
জনগণ একটি দেশের সরকারের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন ড. খান। বলেন, এই ভিত আস্তে আস্তে সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ এখন শূন্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
“তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যেকোনো মুহূর্তে এই সরকার চলে যেতে বাধ্য হবে;” যোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
ড. মঈন খান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল করতে দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আরো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।