যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাবার পথে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন বলে মনে হচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবারের রিপাবলিকান দলের প্রাথমিক নির্বাচনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ হ্যাম্পশায়ারে তিনি যথেষ্ট এগিয়ে আছেন।
রবিবার ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস তার প্রার্থিতার সমাপ্তি ঘোষণার পর ট্রাম্প নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং সামগ্রিক প্রতিযোগিতা, উভয় ক্ষেত্রেই উৎসাহ পেয়েছেন।
ট্রাম্পের একজন গুরুতর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হবেন, এমন প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ডিস্যান্টিস। মনোনয়নের দৌড় থেকে তার প্রস্থানের ফলে এখন প্রাধান দুজন রিপাবলিকান প্রার্থী হলেন ট্রাম্প এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনার প্রাক্তন গভর্নর নিকি হেইলি।
রবিবারের নতুন একটি সিএনএন জরিপে দেখা গেছে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের সম্ভাব্য ভোটের ৫০ শতাংশ ট্রাম্প পেতে যাচ্ছেন, যা সহজেই জাতিসংঘে ট্রাম্পের এক সময়ের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির ৩৯ শতাংশকে টপকে গেছে। ডিস্যান্টিস পাচ্ছেন ৬ শতাংশ। অন্যান্য সংবাদ সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক জরিপের সাথে এই সমীক্ষার ফলাফল সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।
সপ্তাহান্তে ট্রাম্প আর হেইলির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে থাকে। সে সময় ডিস্যান্টিস দক্ষিণ ক্যারোলিনা সফর করেন এবং হোয়াইট হাউসের জন্য তার প্রচারণা সমাপ্ত করার আগে নিউ হ্যাম্পশায়ারে ফিরে এসেছিলেন।
সাউথ ক্যারোলিনার পার্টি প্রাইমারির আর এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি আছে। কিন্তু ট্রাম্প এই সপ্তাহান্তে হ্যালির নিজ রাজ্যে তার অবস্থানের অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন। সাউথ ক্যারোলিনার এক গুচ্ছ কর্মকর্তা, যারা ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন, তারা ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলার জন্য ১,৩০০ কিলোমিটার (প্রায় ৮০৭.৮ মাইল) দূরে অবস্থিত নিউ হ্যাম্পশায়ারে চলে আসেন।
ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালে তার পুনঃনির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, উভয়েই আরেকবার মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ভোটার বলছেন, এমনটা হোক তারা চান না, তবে এটি অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে।