বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও রোহিঙ্গাদের কল্যাণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
সারাহ কুক বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু এবং নিরাপত্তা অংশীদারত্ব জোরদার করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী এবং এখানে তাদের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।
যুক্তরাজ্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
হাছান মাহমুদে বলেন, তারা আইসিটি, সাইবার নিরাপত্তা, দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফ্রন্টে, আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে কাজ করছি।”
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “তাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।”
মানবাধিকার ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার একটি ইস্যু এবং প্রতিটি দেশ এ ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য কাজ করছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, যুক্তরাজ্যের পররাষ্টমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সম্পর্ক জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের কাছে ডেভিড ক্যামেরনের চিঠিটি হস্তান্তর করেন।