অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচিত ‘শরিফার গল্প’ পর্যালোচনায় কমিটি গঠন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের


বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক আলোচিত ‘শরিফার গল্প’ নিয়ে উদ্ভূত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) সহায়তা করার জন্য পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মশিউজ্জামান, ঢাকা আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নতুন কারিকুলামের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ রয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে বিতর্ক চলছে।

বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক (খণ্ডকালীন) এক অনুষ্ঠানে বইটির পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, “পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক পাঠ অংশের উপস্থাপনায় কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকলে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করলে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে।”

বইয়ে শব্দটি ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেটি আইনত স্বীকৃত, যারা জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) কারণে তৃতীয় লিঙ্গ বা সামগ্রিকভাবে সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা এ দেশের নাগরিক। অবশ্যই তাদের নাগরিক সুবিধা আছে।”

XS
SM
MD
LG