লোহিত সাগরে চলাচলকারী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ শুক্রবার জানিয়েছে, ইয়েমেনের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের অবস্থানের কাছে জলে বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে, কোনো ক্ষয়ক্ষতি নেই বা কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছে জাহাজটি।
নিরাপত্তা বিষয়ক সংগঠন ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন বা ইউকেএমটিও বলেছে, তারা একটি জাহাজ থেকে খবর পেয়েছে যে, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং ঐ জাহাজের অবস্থান থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে একটা ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। জাহাজটি ইয়েমেনের এডেন শহর থেকে ১১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলো।
অল্প সময় পর, দ্বিতীয় আর একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছে জাহাজটি। আর, দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে জাহাজের এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে। দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বা কেউ আহত হয়নি। জাহাজটি তার পরের নির্দিষ্ট বন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়া অব্যাহত রেখেছে।
ইউকেএমটিও বলেছে, “জোট বাহিনী” এর “ জবাব” দিয়েছে, তবে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ব্রিটেনের নৌ-নিরাপত্তা সংস্থা আম্ব্রে-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাহাজটি পানামার পতাকাবাহী এবং ভারতের সঙ্গে যুক্ত তেলবাহী জাহাজ।
ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের একাধিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে কয়েক দফা হামলা চালানোর এক সপ্তাহ পর এই হামলার ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের হামলাগুলো পরিচালনা করা হয়েছিলো রাডার স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে।
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে হুথি গোষ্ঠীর হামলার জবাবে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, বাণিজ্য জাহাজে হুথি গোষ্ঠীর হামলা “আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করছে এবং নৌ চলাচলের অধিকার ও স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করেছে।”
হুথি বলেছে, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই হামলা চালাচ্ছে তারা।