বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। আর এর প্রথম অধিবেশনে কেবল ‘নির্লজ্জরা’ যোগ দিতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশে সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
“জনগণের প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দার মধ্যে আজ (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের যাত্রা শুরু হচ্ছে। এর প্রতিবাদে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ সকাল থেকে লাল ও কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন “
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উল্লেখ করেন, সংসদের উদ্বোধনীতে জনগণ আনন্দ উদযাপন করছে না; তারা নিন্দা জানাচ্ছে এবং তাদের ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছে।
“এমতাবস্থায় যাদের কোনো লজ্জা ও আত্মসম্মানবোধ নেই, তারাই এ ধরনের সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন;” যোগ করেন তিনি।
গয়েশ্বর রায় জানান, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নতুন নির্বাচন দিতে তাদের দল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আমরা আমাদের সংগ্রাম থেকে পিছু হটিনি। কিন্তু বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমাদের আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে।”
তিনি আরো জানান যে অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন আজ (৩০ জানুয়ারি), দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন, হরতাল পালন করা হোক। কিন্তু, বিএনপি এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান গয়েশ্বর রায়।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সুদৃঢ় করে, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
ওবায়দুল কাদের:‘কালো পতাকা কর্মসূচি গণবিরোধী’
বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিকে গণবিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার(৩০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
“বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি একটি গণবিরোধী কর্মসূচি এবং এটি দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র;” বলেন তিনি।
কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সজাগ থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
জনস্বার্থবিরোধী কোনো কর্মসূচি সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সকল ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করবো।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতি প্রসঙ্গে আ্ওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুল প্রতিবেদন ও ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিবৃতিটি দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী দেশে বন্দীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি নয়। আর, অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। জামিনযোগ্য অপরাধ হলে জামিন দেয়া হয় বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সংসদ এ বিষয়ে দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে, সমস্যাটিকে অগ্রাধিকার দেবে।”