বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে সরকারের সমালোচনা করেছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে না পারায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিপত্তি রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “আমাদের সীমান্ত এখন অরক্ষিত। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সেখানে রক্ত ঝরছে।”
“একটি দেশের সার্বভৌমত্ব তখনই দুর্বল হয় যখন সে সরকার অন্য দেশের আজ্ঞাবহ হয়। দেশ তখনই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, যখন তার সরকারকে অন্য দেশ সম্মান করে না এবং সরকার যখন সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়;” উল্লেখ করেন রুহুল কবির রিজভী।
সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করায়, মিয়ানমার সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সীমান্তে মিয়ানমার উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারেনি বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি জানান, কারণ তারা যেকোনো উসকানির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বর্তমান সরকারের সেই সক্ষমতা ও জনসমর্থন না থাকায়, আওয়াজ তুলতে ও প্রতিবাদ করতে ভয় পায় বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “অন্য কোনো দেশ যখন আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে, তখন তাদের (সরকারের) জনসমর্থন না থাকায় তারা কিছুই করতে পারছে না। তারা ক্ষমতা দখল করে এবং জনগণকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।”