অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরাকের সাথে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে


নাজাফের ইমাম আলী মাজারে ইরাকিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস যোদ্ধাদের জানাজায় অংশ নিচ্ছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।
নাজাফের ইমাম আলী মাজারে ইরাকিরা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস যোদ্ধাদের জানাজায় অংশ নিচ্ছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বসাম্প্রতিক বিমান হামলা এবং তার আগে এই অঞ্চলে আমেরিকান সেনাদের ওপর ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের প্রায় ১৭০টি হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটন ও বাগদাদের মধ্যকার সম্পর্কের ফাটল বড় হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন অনুযায়ী, শুক্রবারের বিমান হামলায় ইরাকের তিনটি এবং সিরিয়ার আরও চারটি স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং গোয়েন্দা কেন্দ্র থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন স্টোরেজ সুবিধাসহ ৮০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।

সোমবার পেন্টাগন বলেছে, অনির্দিষ্ট সংখ্যক মিলিশিয়া সদস্য নিহত বা আহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা কোনো ইরানি কর্মকর্তা বা অপারেটিভের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

গত মাসে জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন সেনা নিহত হওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাদের সংঘটিত হামলাকে প্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে ইরাকি কর্মকর্তারা ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিবাদ করার পরে অভিযোগ করেছেন যে কিছু লক্ষ্যবস্তু সরকারের নিজস্ব সুরক্ষা বাহিনীর অংশ ছিল।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি বোমা হামলায় নিহতদের জন্য সরকারিভাবে শোক ঘোষণা করেছেন এবং সোমবার বাগদাদে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যের সাথে বৈঠকের আগে প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক বিবৃতির বিপরীতে ইরাকি কর্মকর্তারা আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বাগদাদকে সময়ের আগে এই হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়নি।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, ইরাককে কোনো সতর্কতা প্রদান করা হয়নি তবে মার্কিন হামলা অবাক হওয়ার মতো কিছু ছিল না।

সোমবার পেন্টাগনও ইরাকের কিছু দাবির বিরোধিতা করেছে।

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা রয়েছে। তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের অবশিষ্টাংশ (আইএসআইএস) বা দায়েশের অবশিষ্টাংশকে মোকাবিলা করার জন্য ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে পরামর্শ প্রদান ও সহায়তা করার দায়িত্ব পালন করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার ব্যুরো চিফ নাইকি চিং এবং জাতিসংঘ সংবাদদাতা মার্গারিট বাশীর এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG